পদ্মাসন বা মুক্তপদ্মাসন :

প্রণালী — পা দুটি সামনে ছড়িয়ে সােজা হয়ে ব’সুন । এইবার ডান পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ জানুর ওপর নিচের দেওয়া ছবির মত রাখুন যাতে ডান পায়ের গােড়ালি তলপেটের বাঁ দিকের মূলাধার ( লিঙ্গমূলের কিঞ্চিৎ উপরে অবস্থিত ) স্পর্শ করে ।

এখন বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান পায়ের উপর এমনভাবে রাখুন যাতে বাঁ পায়ের গােড়ালি ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে । এই অবস্থায় যাতে হাঁটু ভূমি থেকে উঠে না পড়ে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে । এই আসনে অবস্থানকালে শির , গ্রীবা ও মেরুদণ্ড সােজা ও সরলভাবে থাকবে । হাত দুটি নিচে দেওয়া ছবির মত কোলের উপর রাখলে ভাল হয় । পদ - দ্বয়ের এইরূপ অবস্থানের সঙ্গে পদ্মের সাদৃশ্য আছে — তাই মনে হয় আসনটির নাম পদ্মাসন ।

এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকার পর পা ছড়িয়ে দিন এবং পা পরিবর্তন করে অর্থাৎ প্রথমে বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ঠিক আগের মত পদ্মাসন অভ্যাস করুন । এই আসন প্রথমে ৩০ সেকেন্ড করে ৪ বার অভ্যাস করতে হবে ।




উপকারিতা :
এই আসন অভ‍্যাসে পায়ের বাত দূর হয়। তবে হাটু ফোলা থাকলে ( হাঁটুতে জল হলে ) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে অভ্যাস করা উচিত । পদ্মাসন একটি শারীরিক অবস্থান , যাতে মেরুদণ্ড বক্র হয় না । মেরুদণ্ডের কর্মক্ষমতার উপরই আমাদের যৌবন ও স্বাস্থ্য নির্ভর করে । আমরা একে যত অবক্র ও নমনীয় রাখতে পারব , দেহভ‍্যন্তরের যন্ত্রগুলি তত ভালভাবে কাজ করবার দরুন আমাদের যৌবন তত অটুট থাকবে । কাজেই যাদের সামনে ঝুঁকে কাজকর্ম করতে হয় ( যেমন ছাত্র , কেরানী ইত্যাদি ) তাদের সমস্ত দিনের অবসর সময়ে অন্তত প্রতিবারে 2 বার করে 4 বার অভ্‍্যাস করবেন।

Comments

Popular posts from this blog